বীরভূম: কেষ্ট ও কাজল ঘনিষ্ঠদের গন্ডগোলে রণক্ষেত্র বীরভূম (Birbhum)। বোমাবাজিতে (Bombardment Birbhum) উত্তপ্ত বীরভূম। এ বার ঘটনাস্থল খয়রাশোল ব্লকের কাঁকরতলা থানার জামালপুর গ্রাম। জানা গিয়েছে, বালির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর (TMC Inner Clash Birbhum) মধ্যে বচসা বাধে। তাতেই দু’পক্ষ বোমাবাজি করেছে বলে অভিযোগ। বোমার আঘাতে শেখ সাত্তার আলি নামে এক তৃণমূল কর্মীর একটি পা উড়ে গিয়েছে। জখম হয়েছেন আরও কয়েক জন। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কাঁকরতলা থানার পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্তেরা তৃণমূল নেতা স্বপন সেন এবং তৃণমূলের কোর কমিটির উজ্জ্বল হক কাদেরির ঘনিষ্ঠ।
মঙ্গলবার ভরদুপুরে একের পর এক বোমার বিকট শব্দে কেঁপে উঠল বীরভূম। চোখে দেখা যাচ্ছে না কিছুই চারিদিকে ধোঁয়ায় ধোঁয়া। মঙ্গলবার কাঁকরতলা থানা এলাকার জামালপুরে বোমাবাজিতে উত্তেজনা ছড়াল। স্থানীয় সূত্রে খবর, বালির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তারপরই চলে বোমাবাজি। এলাকাজুড়ে তৈরি হয় রণক্ষেত্র পরিস্থিতি। এই কামান নিয়ে যুযুধান হল বলে দুই পক্ষ। স্থানীয়দের দাবি, অনুব্রতের কাছের লোক উজ্জ্বল। অন্য দিকে, স্বপন, কালো শেখরা কাজলের ঘনিষ্ঠ বলে খবর।
আরও পড়ুন: বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য শুভেন্দুর
গত বছর জামিনে জেল থেকে মুক্তি পান অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। প্রায় দু’বছর পরে তিনি জেলায় ফেরার পর দলের মধ্যে ফের গোষ্ঠীকোন্দল মাথাচাড়া দিয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে একসময় অনুব্রতর অনুমতি ছাড়া বীরভূমের গাছের পাতাও নড়ত না। তাঁর ইশারাতে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত। অনুব্রতর গ্রেফতারের পর প্রায় দুবছরের কাছাকাছি বীরভূমের সংগঠনকে সামলেছেন কাজল শেখ। লালমাটির দেশে নিজের আদালা জায়গা করে নিয়েছেন কাজল। তাছাড়াও অনুব্রতহীন বীরভূমে পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। জেল মুক্তির পর নিজের গড়েই কিছুটা ব্যাকফুটে কেষ্ট। এরপরই অনুব্রত এবং বীরভূমের জেলা সভাধিপতি কাজল শেখের (Kajal Sheikh ) অনুগামীদের মধ্যে মারামারি, সংঘর্ষ হয়েছে। গোষ্ঠীকোন্দল রুখতে দু’পক্ষ বার্তা দিয়েছে। অনুব্রত দাবি করেন, বীরভূমে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। কাজল শেখের কথায়, ‘বীরভূম জেলায় তৃণমূলের একটাই গোষ্ঠী, সেটা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠী। আমরা সকলেই তৃণমূল করি।’
অন্য খবর দেখুন